প্রতিবেদক: Nayan Dewanji | ক্যাটেগরি: স্বাস্থ্য কথা | প্রকাশ: 16 Jun 2025, 10:51 AM
দেশে আবারও করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর সীমিত পরিসরে করোনা পরীক্ষা ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও চাঁদপুরে এখন পর্যন্ত নেই কোনো আরটি-পিসিআর ল্যাব। ফলে করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের পাঠানো হচ্ছে পার্শ্ববর্তী জেলা কুমিল্লায়, যা জেলাবাসীর ভোগান্তি বাড়িয়ে তুলেছে। অন্যদিকে, উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও অনেকে পরীক্ষা এড়িয়ে যাচ্ছেন—ভয়, লজ্জা ও হয়রানির আশঙ্কায়।
জানা যায়, করোনা মহামারির প্রথম পর্যায়ে ২০২০ সালের ২৭ জুলাই সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির উদ্যোগে তাঁর পিতা ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদের নামে প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্ট এবং চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের যৌথ সহযোগিতায় একটি আরটি-পিসিআর ল্যাব চালু করা হয়। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার, ল্যাবটি হাসপাতাল বা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে স্থাপন না করে করা হয় তাঁর ব্যক্তিগত বাসভবনে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সেই ল্যাব বন্ধ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ডা. দীপু মনির চাঁদপুর শহরের বাসভবনে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে ল্যাবের যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়। এখন সেখানে ল্যাবের কোনো অস্তিত্বই নেই।
চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত জেলায় ৯৪ হাজার ৯৬ জন করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ হাজার ৬৫৮ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৪৬ জন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৬৭৭ জন।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আসা রোগী সিয়াম ও ইসমাইল হোসেন বলেন, “হঠাৎ করে আবার করোনা বাড়ছে, কিন্তু কোথাও তেমন সতর্কতা বা প্রস্তুতির চিহ্ন নেই। কুমিল্লায় গিয়ে পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না সবার পক্ষে। দ্রুত চাঁদপুরে আবার করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপন করা দরকার।”
এ প্রসঙ্গে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, “দীপু মনি নিজের বাসায় একটি ল্যাব করেছিলেন। ৫ আগস্টের ঘটনার পর সেটির আর কোনো অস্তিত্ব নেই। আপাতত আমাদের হাসপাতালে বা জেলায় করোনা পরীক্ষার কোনো সুযোগ নেই, ফলে কুমিল্লায় রেফার করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সচেতনতা, মাস্ক ও হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই ঝুঁকি কমানো সম্ভব।”
জেলায় করোনা পরীক্ষার ল্যাব না থাকায় জনমনে উদ্বেগ বেড়েছে। স্বাস্থ্যসেবা পেতে দেরি, কুমিল্লা যাওয়ার খরচ ও সময় এবং আক্রান্তদের চুপ থাকার প্রবণতা—সব মিলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, অতিসত্বর সরকারি ব্যবস্থাপনায় চাঁদপুরে একটি পূর্ণাঙ্গ আরটি-পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হোক।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
কুমিল্লার ১৮টি থানার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নারী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নাজনীন...
দেশজুড়ে করোনাভাইরাসের নতুন একটি উপধরনের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারও সতর্ক হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুল...
দেশের বিশাল যুব জনগোষ্ঠীকে দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল করে তোলার লক্ষ্যে এক যুগান্তকারী কর্মসূচির ঘোষণা দিয়...
কুমিল্লায় গত মে মাসে খুন, মাদক, চুরি ও অস্ত্র চোরাচালানের মতো অপরাধের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। অপরদ...
জুনের শেষ ভাগে বাতাসে ঈদের ঘ্রাণ তখনো শুকায়নি। কিন্তু জগমোহনপুর গ্রামের আকাশটা রবিবার সকালেই হঠাৎ রঙ...
জলের মানুষ এইচএম জাকির জল ছিল তার জন্মের সাথিনাভিমূল হতে যে নদীর পথ বেয়ে এসেছিল, তেমন এক স...
The Weekly Swadesh Journal স্বদেশ জার্নাল