
প্রতিবেদক: Nayan Dewanji | ক্যাটেগরি: লাইফস্টাইল ও ক্যারিয়ার | প্রকাশ: 5 Jun 2025, 4:02 AM


বাতাসে যেভাবে বিকেলের গন্ধ লেগে থাকে, তেমনি তাসনিয়া ফারিণের চলনে এক ধরনের নিঃশব্দ সৌন্দর্য। পর্দায় তিনি কখনো নিস্তব্ধ কান্না, কখনো বিদ্রোহী হাসি—আবার কখনো পুরনো শহরের জানালায় জমে থাকা বিষণ্ণতা। কিন্তু সেই সব চরিত্রের বাইরে, জীবনের নীরব গলিতে এক মেয়ের গল্প বয়ে চলে, যার নাম তাসনিয়া।
ভোরবেলা: জেগে ওঠা নিজস্ব পৃথিবীর
সকাল তার কাছে ক্যানভাস। সূর্যের প্রথম আলো তার ঘরে ঢোকে আলতো পায়ে—চা’এর কাপে লেবু আর মধু মেশানো এক কোমল অভ্যেসে। নিজ হাতে গাছেদের পানি দেন, তারা যেন তার গোপন বন্ধু। ব্যায়াম নয়, যেন কোনো ধ্যানমগ্ন ক্রিয়া—যোগ, শ্বাস প্রশ্বাসের মাঝে এক আত্মনিয়ন্ত্রণ। তিনি বলেন না, “ফিট থাকতে হবে”; তিনি বলেন, “ভালো থাকতে হবে।” তার শরীরচর্চা যেন এক ধরনের মনের যত্ন।
খাওয়া: যে খায় ভালোবেসে
ফারিণের খাদ্যভ্যাসে নেই বাহুল্য, আছে আন্তরিকতা। পান্তা-ইলিশ যেমন তার রুচির জায়গা, ঠিক তেমনি ওভেনে বেক করা চিজ পাস্তা কিংবা হালকা সুশি। তিনি রান্নাও করেন—কখনো একা, কখনো প্রিয়জনের জন্য, যেন অভিনয় নয়, ঘ্রাণ দিয়ে লেখা একটি গল্প। মিষ্টির প্রতি তার দুর্বলতা আছে, বিশেষ করে চকোলেট। তবে তিনি জানেন, সুখ মানেই মিষ্টি নয়, মাঝেমধ্যে একটু না খাওয়াও ভালোবাসা।
পোশাক: পরিপাটি নয়, আত্মা যেন মেশা থাকে
পোশাক তার কাছে চেহারার নয়, চেতনার ভাষা। কখনো ঢোলা শার্টে শহরের হাওয়া, কখনো সাদামাটা সুতিতে শিকড়ের গন্ধ। শাড়িতে তিনি যেন এক জোড়া কবিতা, পা থেকে মাথা পর্যন্ত একেকটি ভাঁজে স্মৃতি, অঙ্গার আর জ্যোৎস্না। জৌলুসকে কখনোই তিনি প্রাধান্য দেন না—স্বস্তি আর সত্যিকারের আত্মপ্রকাশই তার স্টাইল স্টেটমেন্ট।
ভেতরের দিক: বই, নীরবতা আর একটু 'আমি' সময়
তার বই পড়ার ধাঁচও অভিনব। মেঘলা দিনে তার পড়ার টেবিলে থাকে ফরাসি সাহিত্যের অনুবাদ, আবার একলা রাতে আত্মজীবনীর পাতায় ডুবে যান তিনি। রবীন্দ্রসংগীত তার সঙ্গী—চা’র ধোঁয়া আর 'আমার খেয়া যাবেই যাবে'র ভেতরে মিশে থাকে তার মনের ঘর। মাঝে মাঝে ভ্রমণে যান, শুধু প্রকৃতি দেখতে নয়, নিজেকে খুঁজতে।
অভিনয় ও আগামী: অদেখা পথের যাত্রী
তাসনিয়া জানেন, জনপ্রিয়তা আসতে পারে, আবার মিলিয়ে যেতে পারে। কিন্তু শিল্প যদি টিকে থাকে হৃদয়ে, তাহলেই সেটা সার্থক। তাই অভিনয়কে ভালোবাসেন শিল্পের মতো, শোরগোলের মতো নয়। তিনি স্বপ্ন দেখেন একদিন নিজের গল্প বলার, পর্দার পেছনে থেকেও আলো ফেলার।
তাসনিয়া ফারিণ—একটি নাম নয়, বরং এক অনুভূতি। আধুনিকতার মধ্যে এক টুকরো ক্লাসিক, নরম অথচ দৃঢ়। তিনি যেন এক অবিরাম প্রবাহ—কখনো নদী, কখনো কুয়াশা, আবার কখনো এক ফেলে আসা বিকেলের দীর্ঘশ্বাস।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর

যদি কাঁদতে পারি
যদি কাঁদতে পারিএস ডি সুব্রতবিভ্রমের ভয়াল মেঘ তাড়া করে অহর্নিশআঁধারে পথ চলি ভুলের সমুদ্রে ডুবে...

মুরাদনগরে গরমে পথচারীদের মাঝে কওমী তরুন ওলামা পরিষদের শরবত ব...
মুরাদনগরে গরমে পথচারীদের মাঝে কওমী তরুন ওলামা পরিষদের শরবত বিতরণমুরাদনগর প্রতিনিধিঃতীব্র গরমে সাধারণ...

"যে আমি মৃত ছিলাম "— খাজিনা খাজি
আমি মৃত ছিলাম—নিঃশব্দের গভীরে,আলোক থেকে বঞ্চিত,জীবনের জমাট বাঁধা অন্ধকারে।সেই সময়, আমার হৃদয় ছিল শ...

চাঁদপুরে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ, একদিনেই জরি...
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁদপুরচাঁদপুরের সড়কে নেমেছে শৃঙ্খলার কঠোর বার্তা। গত বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকে সন...

স্টেডিয়াম হবে মাদকের প্রতিষেধক : যুব ও ক্রীড়া সচিব
অহনা খান, চাঁদপুর ॥যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা করতে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলায় দ্রুত এক...

বহুরূপী মানুষ
ছোট গল্প :গ্রামের নাম দত্তপাড়া। ছোট্ট এক গ্রাম, কিন্তু নানা কাহিনিতে ভরপুর। এই গ্রামের সবচেয়ে রহস্য...
