প্রতিবেদক: Nayan Dewanji | ক্যাটেগরি: শিক্ষা ও সংস্কৃতি | প্রকাশ: 29 Jun 2025, 12:20 AM
প্রাথমিক শিক্ষার এক বিশাল অংশ কিন্ডারগার্টেনভিত্তিক হলেও তারা এখনও থেকে গেছে নীতিমালার বাইরে—এমন বাস্তবতা তুলে ধরে ‘বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুল ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) প্রফেসর ড. খান মঈনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
শনিবার (২৮ জুন), রাজধানীর খিলগাঁওয়ের একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সনদ ও অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠান। এতে ঢাকা পূর্বাঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ২৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর সোহেল বলেন,
“দেশে প্রায় ১ কোটি শিক্ষার্থী কিন্ডারগার্টেনভিত্তিক শিক্ষায়তনে পড়াশোনা করছে। এখানে প্রায় ৫০ হাজার প্রতিষ্ঠান ও ৭ লাখ শিক্ষক যুক্ত। তাদের অবহেলা করে সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”
যদিও তিনি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকসংখ্যার নির্ভরযোগ্য সূত্র উল্লেখ করেননি, তথাপি বক্তব্যে নীতিমালার আওতায় এনে কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৫ সালের বৃত্তি পরীক্ষায় যেন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরাও অংশ নিতে পারেন, সে দাবিও করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রফেসর সোহেল বলেন,
“কিন্ডারগার্টেন শিক্ষকরা অনেক ক্ষেত্রেই প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বোঝা কমিয়েছে। তাদের ন্যায্য দাবি সরকার বিবেচনা করবে, এবং আমি আশা করি প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন করবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মো. রেজাউল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন—
তথ্য অধিদফতরের সিনিয়র ডিপিআইও মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান
ইডেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. শারমিন জাহান (ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ)
মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী
ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মো. আবুল কালাম আজাদ
সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন ভূইয়া
অর্থ সম্পাদক মো. অলিউল্লাহ সরকার
শিক্ষা সম্পাদক সামছুদ্দিন আহমেদ স্বজল।
অনুষ্ঠানে সনদ ও অর্থ পেয়ে আনন্দিত শিক্ষার্থীরা যেমন উৎসাহিত, তেমনি শিক্ষক সমাজও আশায় বুক বাঁধছেন—নীতিমালার আওতায় এলে তাদের স্বীকৃতি ও সুরক্ষা নিশ্চিত হবে, মিলবে সম্মান ও স্থায়িত্ব।
কিন্ডারগার্টেন এখন আর শুধুই শহুরে ‘অবাণিজ্যিক’ উদ্যোগ নয়—এটি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। তাই তাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার উপর, যা তাদের মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে।
শিশুর হাসি যেন প্রতিষ্ঠানের টিকে থাকার কান্নায় মিলিয়ে না যায়। শিক্ষা হোক অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায্য ও যথার্থ।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘দেশের মানুষ ১৭ বছর...
মিল্লার লালমাই উপজেলার মনোহরপুর এলাকায় প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করে মাতলামি করার দায়ে দুই যুবককে কারাদণ্...
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে মো. মোস্তফা (৫০) নামের এক রাজমিস্ত্রির হাত-পা বাঁধ...
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জন্য ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়ে...
বরুড়া পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৩০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় প...
মুরাদনগরে ধর্ষকের দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি সনাতনীদেরনিজস্ব প্রতিবেদক।। কুম...
The Weekly Swadesh Journal স্বদেশ জার্নাল