
প্রতিবেদক: Nayan Dewanji | ক্যাটেগরি: বিনোদন | প্রকাশ: 10 Jun 2025, 12:21 AM


বাংলাদেশের ছোট পর্দার এক অদ্বিতীয় প্রতিভা, অভিনয়ের পাকা কারিগর, জাহিদ হাসান। পর্দায় তার মুখ মানেই জীবনের অনুশীলন, প্রতিটি সংলাপে যেন বাস্তবতার প্রতিধ্বনি। সেই পরিচিত মুখ, যিনি শতাব্দীর গল্পগুলো আমাদের চোখের সামনে জীবন্ত করে তুলেছেন, তিনি আজ ঢাকার এক হাসপাতালের নিঃশব্দ কক্ষে শুয়ে আছেন। চার দিন ধরে চলেছে চিকিৎসা, চলেছে সুস্থতার প্রত্যাশা।
ঈদের আগের দিন, যখন শহর ঢাকায় কোরবানির প্রস্তুতিতে মানুষের হৃদয় ব্যস্ত, তৎকালীন মুহূর্তে জ্বর ও দুর্বলতা আক্রান্ত করে জাহিদ হাসানকে। ঠান্ডাজনিত জটিলতা ধীরে ধীরে তাকে নিঃশক্ত করে তোলে। ফলে পরিবার তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করতে বাধ্য হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন, তবে আশার আলোও জ্বলছে ক্ষীণভাবে।
এই সংবাদ যখন ছড়ায়, তার হাজারো ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ী থমকে যায়। পর্দার বাইরে তিনি হয়তো আমাদের চেনা নন, কিন্তু অভিনয়ের পর্দায় তিনি পরিবারেরই একজন—যার হাসি-কান্না, প্রেম-অভিমান, পরিণতি কিংবা পরাজয় আমাদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে।
এই দুর্দিনে পাশে আছেন তার চিরসাথী, জীবন ও শিল্পের নৈঃশব্দ্যে একসঙ্গে পথ চলা সাদিয়া ইসলাম মৌ। এক গভীর ভালোবাসার প্রকাশে তিনি জানালেন সংবাদমাধ্যমকে,
“জাহিদকে নিয়ে হাসপাতালে আছি। শুরুতে তার জ্বর আসে, এরপর দুর্বলতা চেপে বসে। ঠান্ডার কারণে শরীর খারাপ হয়। তবে এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছেন। কিছুটা সুস্থ হলেই বাসায় ফিরতে পারব আমরা।”
এই অনিশ্চয়তার ভেতরেও নক্ষত্রের মতো আলো জ্বলে। কারণ, জাহিদ হাসান যেন নিজেই এক আশ্বস্তির নাম। যিনি পর্দায় হোক বা বাস্তব জীবনে, নিজেকে হারিয়ে দেন নিঃশব্দ এক নিবেদন ও নির্ভরতায়।
এমনই এক নিবেদনের নিদর্শন হিসেবে চলতি ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত চলচ্চিত্র ‘উৎসব’। হয়তো তিনি হাসপাতালের বিছানায়, কিন্তু পর্দায় ঠিকই জীবিত হয়ে উঠেছেন নতুন এক গল্পে। মানুষ হলে অসুস্থতা আসে, দুর্বলতা গ্রাস করে, কিন্তু শিল্পীর জীবনীশক্তি থাকে অমর—তার সৃষ্টি, তার চরিত্র, তার কণ্ঠস্বর ও চোখের ভাষায়।
আমরা জানি, জাহিদ হাসান এই বিরতিকে অস্থায়ী ভাবেই নিয়েছেন। সুস্থ হয়ে ফিরবেন তিনি আবার, ক্যামেরার সামনে, আমাদের মনস্তলে। আর আমরা অপেক্ষা করব—শব্দে, সংলাপে, দৃষ্টিতে, জীবনের সঞ্চারময়তায়।
সারা দেশের ভক্তরা আজ তাঁর সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন, যেন শিগগিরই ফিরতে পারেন তিনি নাটকের মঞ্চে, টেলিভিশনের আলোয়, জীবনের বর্ণনায়। কারণ, তিনি শুধুই একজন অভিনেতা নন, তিনি আমাদের সময়ের এক মঞ্চনির্ভর কবি, যিনি মুখে নয়, চোখে লিখে যান জীবনের সবচেয়ে সত্য উপাখ্যান।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
অন্যান্য খবর

যদি কাঁদতে পারি
যদি কাঁদতে পারিএস ডি সুব্রতবিভ্রমের ভয়াল মেঘ তাড়া করে অহর্নিশআঁধারে পথ চলি ভুলের সমুদ্রে ডুবে...

মুরাদনগরে গরমে পথচারীদের মাঝে কওমী তরুন ওলামা পরিষদের শরবত ব...
মুরাদনগরে গরমে পথচারীদের মাঝে কওমী তরুন ওলামা পরিষদের শরবত বিতরণমুরাদনগর প্রতিনিধিঃতীব্র গরমে সাধারণ...

"যে আমি মৃত ছিলাম "— খাজিনা খাজি
আমি মৃত ছিলাম—নিঃশব্দের গভীরে,আলোক থেকে বঞ্চিত,জীবনের জমাট বাঁধা অন্ধকারে।সেই সময়, আমার হৃদয় ছিল শ...

চাঁদপুরে ট্রাফিক শৃঙ্খলায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ, একদিনেই জরি...
নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁদপুরচাঁদপুরের সড়কে নেমেছে শৃঙ্খলার কঠোর বার্তা। গত বুধবার (১১ জুন) সকাল থেকে সন...

স্টেডিয়াম হবে মাদকের প্রতিষেধক : যুব ও ক্রীড়া সচিব
অহনা খান, চাঁদপুর ॥যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল ছোবল থেকে রক্ষা করতে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলায় দ্রুত এক...

বহুরূপী মানুষ
ছোট গল্প :গ্রামের নাম দত্তপাড়া। ছোট্ট এক গ্রাম, কিন্তু নানা কাহিনিতে ভরপুর। এই গ্রামের সবচেয়ে রহস্য...
