প্রতিবেদক: Nayan Dewanji | ক্যাটেগরি: শিল্প ও সাহিত্য | প্রকাশ: 21 Jun 2025, 10:42 PM
২০ জুন, ঈদের খুশির রেশ তখনও বাতাসে ঘোরে। এমন এক বিকেলে, রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত শিশু কল্যাণ পরিষদের হলরুম যেন রূপ নেয় এক কবিতাময় উৎসবে। দেশ বাংলা লেখক-পাঠক ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ঈদ পুনর্মিলনী ও সাহিত্য আড্ডা— যেখানে সাহিত্য, সংগীত আর হৃদয়ের টানে একত্রিত হয় দেশের নানা প্রান্তের কবি-লেখক-সংগঠকরা।
উপস্থাপক হিসেবে ছিলেন আর. মজিব— যার সাবলীল কণ্ঠে শুরু থেকে শেষ অবধি অনুষ্ঠান পেয়েছিল এক ছন্দময় গতি। সভাপতিত্ব করেন কবি প্রাকৃতজ শামীম রুমি টিটন, যিনি শুধু একজন কবিই নন, একজন সংস্কৃতির অগ্রদূত, কুমিল্লা কবি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত কবি ও সাহিত্য সম্পাদক (নয়া দিগন্ত) জাকির আবু জাফর। প্রধান আলোচকের আসন অলংকৃত করেন গল্পকার ও 'অন্য দিগন্ত'-এর সম্পাদক মুজতাহিদী ফারুকী। উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন কবি মুহাম্মদ আবু তাহের, যার উপস্থিতি যেন এক আধ্যাত্মিক আশ্বাস হয়ে উপস্থিত সকলকে ছুঁয়ে যায়।
বিশেষ আলোচক হিসেবে আলো ছড়ান বহু গুণীজন— কবি কাজী আবু তাহের, প্রফেসর মো. আমির হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মাহবুবুর রহমান, কবি আবুল কালাম আজাদ, ড. আলহাজ্ব শরিফ সাকী এবং আরও অনেকেই।
অনুষ্ঠানের শুরুটা ছিল পবিত্র— কুরআন তেলাওয়াতে উদ্বোধন করেন কবি এইচ এম শাহরিয়ার কবির। এরপর একে একে উঠে আসে সংগঠনের প্রাণের মানুষদের বক্তব্য— কবি ও শিশু সাহিত্যিক আবদুল লতিফ, সংগঠক কোমল দাস, গল্পকার খন্দকার জিল্লুর রহমান— যাদের শব্দে ছিল ভালোবাসা, দায়িত্ব আর প্রতিশ্রুতির সুর।
সাহিত্যের সঙ্গে সংগীত আর আবৃত্তির এক অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছিল এ বিকেলে। গানে-আবৃত্তিতে প্রাণ ছুঁয়ে যাওয়া পরিবেশনায় ছিলেন কবি ও সংগঠক সারোয়ার মাহিন, আবৃত্তিশিল্পী মূসা আকন্দ, জাতীয় আবৃত্তিশিল্পী আরিফ আহমেদ ও আবৃত্তিকার জহিরুল হক বিদ্যুৎ।
এ যেন শুধুই অনুষ্ঠান ছিল না, ছিল এক মননের যাত্রা। সারা দেশ থেকে আগত কবিরা কবিতার চরণে তুলে ধরেন ভাবনার গভীরতা আর জীবনের গল্প। কবি আনজানা ডালিয়া হৃদয়ছোঁয়া অনুভব আর কণ্ঠশিল্পী আবিদা, মিয়া সুমন, শাহরিয়ার রায়হান, খোকন— এঁদের সুরে-সুরে মঞ্চে বয়ে যায় এক মোহময় আবহ।
প্রধান আলোচকের গল্পচিন্তা আর প্রধান অতিথির কবিতাচর্চা নিয়ে মূল্যবান মতামত— এই অংশটুকু ছিল যেন তরুণ লেখকদের জন্য আলোর দিশা। আর সভাপতির সমাপ্তি বক্তব্য? যেন এক আবেগমাখা আহ্বান— "লিখে যাও, ভালোবাসো, গড়ো সাহিত্যের সমাজ।"
এদিন শুধু একটা সাহিত্যিক আয়োজনই নয়, হয়ে উঠেছিল আত্মার মিলনমেলা। দেশ বাংলা পরিবারের প্রতিটি সদস্যের আন্তরিক শ্রম আর ভালোবাসায় এমন এক আয়োজন বাস্তবায়িত হয়েছে— যা মনে থাকবে বহুদিন।
আসলে এ এক বিকেল নয়, এ ছিল সাহিত্যের হাতে লেখা একটি ঈদের চিঠি।
এই সংবাদটি শেয়ার করুন
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটকেন্দ্র স্থাপনা ও ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)...
ইলিশ—জাতীয় মাছ হিসেবে আবেগ ও অর্থনীতির এক অনন্য প্রতীক। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এর ক্রমবর্ধমান দাম সা...
এক সপ্তাহের অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে আবারও সচল হয়ে উঠেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। যৌক্তিক সংস্কার...
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘দেশের মানুষ ১৭ বছর...
মিল্লার লালমাই উপজেলার মনোহরপুর এলাকায় প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন করে মাতলামি করার দায়ে দুই যুবককে কারাদণ্...
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে মো. মোস্তফা (৫০) নামের এক রাজমিস্ত্রির হাত-পা বাঁধ...
The Weekly Swadesh Journal স্বদেশ জার্নাল